About Us

মেরিন ফিশারিজ একাডেমি এক্স-ক্যাডেট এসোসিয়েশন

মেরিটাইম সেক্টরের প্রয়োজন বিবেচনা এবং মেরিন অফিসারদের নিয়মতান্ত্রিক চাহিদা সমূহের বাস্তব রূপ দেয়ার অভিপ্রায়ে এবং সর্বোপরি দেশ ও জাতির কল্যাণে এক্স-ক্যাডেটদের অবদান পরিপূর্ণতা প্রদানের ঐকান্তিক আগ্রহকে সামনে রেখে ২৭ অক্টোবর ১৯৮২ সালে “মেরিন ফিশারিজ একাডেমি এক্স-ক্যাডেট এসোসিয়েশন” এর যাত্রা শুরু হয়। শুরুতে এর নেতৃত্বে ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার মো: শাহজাহান, নেভিগেটর সামছুল ইসলাম রাশেদী, ফিশ প্রসেসিং টেকনোলজিষ্ট ওয়াহেদুজ্জামান। পরবর্তীতে ২৩শে জানুয়ারী ১৯৮৫ সালে এক্স-ক্যাডেট এসোসিয়েশন সরকারী সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন অনুমোদন লাভ করে।

মেরিন ফিশারিজ একাডেমি এক্স-ক্যাডেট এসোসিয়েশন শুরুতে এক বছর মেয়াদী নির্রাচিত কমিটির নেতৃত্বে কার্যক্রম চালিয়েছে। ২০০০ ইং সালের পর হতে এর গঠনতন্ত্র পরিবর্তন আনার মাধ্যমে দুই বছর মেয়াদী নির্বাচিত পরিষদের নেতৃত্বে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মেরিন ফিশিং সেক্টরে অপারেশনাল ২৪২টি সমুদ্রগামী ফিশিং ভেসেলে কর্মরত অফিসার, অসংখ্য সমুদ্রগামী বাণিজ্যিক জাহাজে কর্মরত অফিসার, দেশের মেরিটাইম সেক্টরে কর্মরত জনগোষ্টী, দেশে-বিদেশে বিভিন্ন জাহাজে এবং মেরিটাইম প্রতিষ্ঠান সমূহের কর্মরত মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ১৮০০ এর বেশি এক্স-ক্যাডেট তথা মেরিনারদের সুখ-দু:খ, আশা-আকাঙ্খার প্রতীক এই এসোসিয়েশন।

বাংলাদেশের মেরিটাইম সেক্টরে নিয়মতান্ত্রিকতা প্রতিষ্ঠা, মেরিন অফিসারদের জন্য IMO, ILO এবং সর্বোপরি MLC 2006 নির্দেশিত চাহিদা ও অধিকার সমূহ বাস্তবায়নে এক্স-ক্যাডেট এসোসিয়েশন অতীতের মতোই নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা সকল এক্স-ক্যাডেটদের।  মেরিনারদের সুযোগ সুবিধা, বিদ্যমান আইনী কাঠামোর সংযোজন-পরিবর্তন, যুগোপযোগী আইন প্রণয়নে সহায়তা, ফিশিং সেক্টরের চাকুরি বিধিমালাসহ এক্স-ক্যাডেটদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় সকল বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন অধিদপ্তর, মন্ত্রণালয়ে এসোসিয়েশনের সক্রিয় তৎপরতা ও সহযোগিতা বিদ্যামান রয়েছে।

এক্স-ক্যাডেটদের বিভিন্ন দু:সময়ে এসোসিয়েশন নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী পাশে দাঁড়িয়েছিল। এক্স-ক্যাডেটদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ইতিপূর্বে এসোসিয়েশন কর্তৃক চিকিৎসা সহায়তা তহবিল গঠন, দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কিংবা জাহাজ দূর্ঘটনার শিকার হয়ে নিহত নাবিকদের পরিবারের জন্য এককালীন আর্থিক সাহায্য প্রদান উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া দেশ ও জাতির সংকটে-প্রয়োজনেও এক্স-ক্যাডেট এসোসিয়েশন এগিয়ে এসেছে। ২০১৭ সালে মায়ানমার কর্তৃক নিপীড়িত ও বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের জন্য আর্থিক সহায়তা তহবিল গঠন ও কক্সবাজারে গিয়ে এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ কর্তৃক খাদ্য সংকটে পড়া রোহিঙ্গাদের উক্ত সহায়তা তহবিলের অর্থ প্রদান করে মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখেছেন।

চলমান করোনাভাইরাস মহামারীকালীন এক্স-ক্যাডেটদের চরম মুহুর্তে দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এসোসিয়েশন। ইতিপূর্বে সকল তহবিল গঠনে এক্স-ক্যাডেটদের উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আন্তরিক আর্থিক সহায়তা এসোসিয়েশনকে গৌরবান্বিত করেছে। ভবিষ্যতেও যেকোন প্রয়োজনে এক্স-ক্যাডেটদের সম্মিলিত প্রয়াস আমাদের অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে সহায়তা
করবে, ইনশাআল্লাহ।

এক্স-ক্যাডেট এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাকালীন হতে বিভিন্ন সময়ে নির্বাচিত পরিষেদের যে সকল কর্মকর্তা, আজীবন ও সাধারণ সদস্য আমাদের ছেড়ে পরপারে চলে গেছেন, সে সকল প্রয়াত এক্স-ক্যাডেটদের প্রতি জানাচ্ছি আমাদের অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা এবং তাদের সবার আত্মার শান্তি কামনা করছি।

মেরিন ফিশিং এবং দেশ-বিদেশে কর্মরত সকল শুভানুধ্যায়ীর জন্য একরাশ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

Open chat
ECA Office
Hello 👋
Can we help you?